মুক্তি পাওয়ায় খবর শুনে যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাস কারাগারে আমরণ অনশনে অংশগ্রহণকারী ৪৮ জন বাংলাদেশী তাদের অনশন ভেঙেছেন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে টেক্সাসের এল পাসো’র আটক কেন্দ্রে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মুক্তি পাওয়ার খবরে টেক্সাসের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৮টায় অনশন ভেঙ্গে বাংলাদেশীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশের পর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হওয়ায় টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের আওতাধীন এল পাসো বন্দি আটক কেন্দ্রে ৮২ জন বাংলাদেশী নাগরিককে দীর্ঘদিন ধরে  আটক রাখা হয়। ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) শামসুল আলম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর অনশনরত ৪৮ জন বাংলাদেশী বন্দি তাদের অনশন ভাঙেন। বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন ৬৪ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আটককৃতদের দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর দাবিতে গত বুধবার থেকে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন।

শামসুল আলম চৌধুরীর জানান, বন্দি বাংলাদেশীদের মুক্তির ব্যাপারে বেশ কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রধান শর্ত হল প্রত্যেকের জন্য একজন করে স্পন্সর দিতে হবে। যারা আগামীতে তাদের ব্যয়ভার গ্রহণ করতে পারবেন।

এদিকে এল পাসো বন্দি আটক কেন্দ্রে থেকে ৮২ জন বাংলাদেশীর মধ্য আরও ১৪ জনকে লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একটি কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং সেখানেও তারা অনশন কর্মসূচি চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। লুইজিয়ানায় অনশনরত ১৪ বাংলাদেশীর বিষয়টি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানান দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা।

তিনি জানান বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সকলকেই নতুন পাসপোর্ট দেয়া হবে। তবে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্তরা জামিনেই থাকবেন। এ সময় বিভিন্ন স্থানে তারা কাজ করার অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) এবং অস্থায়ী একটি সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর পাবেন।