জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন হাইকোর্ট। অপর দুই আসামি সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। এ রায়ের পর মামলাটিতে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। একই সঙ্গে এ রায়ের মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হয়ে গেলেন খালেদা জিয়া।
গতকাল রায় ঘোষণার পর প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যানারে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ১টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতেই এ কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জয়নুল আবেদীন। তিনি বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান।
গতকালের রায়ের পর আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। শুধু কারাবন্দিরাই আপিল করতে পারবেন। এ মামলায় খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ কারাগারে বন্দি। গতকাল থেকে এই দিন গণনা শুরু হলেও রায়ের কপি যতদিন না পাচ্ছে ততদিন ওই ৩০ কার্যদিবস থেকে বাদ যাবে।
রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মোমতাজউদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, একরামুল হক টুটুলসহ রাষ্ট্রপক্ষের শতাধিক আইন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আজহার উল্লাহ ভুইয়াসহ সরকার সমর্থক আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।