উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পরিধি আরও বাড়িয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। নতুন করে দেশটির চার প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে গোয়েন্দাগিরি কার্যক্রমের প্রধানসহ ১৪ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক সপ্তাহের সমঝোতা ফলপ্রসূ না হওয়ায় শুক্রবার এই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব পাস করে নিরাপত্তা পরিষদ। পরিষদের ১৫ সদস্য রাষ্ট্রই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো সংক্রান্ত প্রস্তাবে একমত হয়। কালো তালিকাভুক্ত অন্যদের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং সেনাবাহিনীর পাইওনগ্যাংগ কর্মসূচির প্রধান অর্থদাতাও রয়েছেন।
আর চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, উত্তর কোরিয়ার স্ট্র্যাটেজিক রকেট ফোর্স, দ্য কোরিও ব্যাংক এবং আরো দুটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ওই চারটি প্রতিষ্ঠান এবং ১৪ কর্মকর্তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি (অন্য দেশে থাকা) তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত (অ্যাসেট ফ্রিজ) করেছে। যদিও নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু বোমা পরীক্ষার বন্ধে জাতিসংঘের সবরকমের নিষেধাজ্ঞা বরাবরই উড়িয়ে দিয়ে আসছে পিয়ংইয়ং।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রথমে ২০০৬ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু পরীক্ষা সংক্রান্ত কর্মসূচির জেরে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর থেকেই পর্যায়ক্রমে নিষেধাজ্ঞার মাত্রা জোরদার করা হয়ে আসছে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই ১৪ ব্যক্তি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। আর চারটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ফ্রিজ করে রাখা হবে।