দুর থেকে শুনা যায় পাহাড়িয়া ঝর্ণার নুপুরধ্বনি। শুনা যায় পাখিদের কলতান, সবুজ শ্যামল অপরূপ লেকের মায়াবী খেলা। কার না মন জুড়ায়। শিশু, কিশোর, আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই ছুটে এসছেন মহামায়ায়। অনেকটা মহামায়ার মায়ার জালে বন্ধি হয়েছেন তারা। প্রতিবছরের মত এবার ঈদের ছুটিতে ব্যতিক্রম হয়নি মহামায়ার কোলে। মহামায়া এবার সেজেছে নতুন রুপে। তাই ঈদে পর্যটকরা আসছেন দলে দলে। ঈদের দিন থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মহামায়া। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক মহামায়া কিছু দিন আগে একটি বেরসকারি কোম্পানীর কাছে তিন বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়। ফলে ইজারাদাররা পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধার ব্যবস্থা করে। মহামায়ার নীলাভ জলরাশি, দুপাশে উচু উচু পাহাড়, পাহাড়ের বুক চিরে চলে যাওয়া লেক আর সারি সারি বৃক্ষ, লেকে নৗকা আর ইঞ্জিন বোটের ছুটোছুটি যেন অন্য রকম এক সৌন্দর্য রচিত হয়েছে এ লেককে ঘিরে। ঘুরতে আসা চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী খালেদা আক্তার জেলী জানান, মহামায়া লেকের এই অপরুপ সৌন্দর্য্যে বিমোহীত হয়েছেন। তাদের ভাষায় মহামায়া লেকের এই সৌন্দর্য্য যেন প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি। বিশেষ করে বোটে করে মহামায়ার সৌন্দর্য উপভোগ করা দারুন অনুভূতি।

সরেজমিন মহামায়া সেচ সম্প্রসারণ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার নারী পুরুষ ভীড় জমিয়েছেন। তরুনরা গা ভিজিয়ে নিচ্ছে লেকের নীলাভ জলরাশিতে। ইঞ্জিন চালিত বোটে করে দর্শনার্থীরা ছুটে চলেছে মহামায়া বাঁধ থেকে ১ কিলোমিটার দুরের ঝর্ণা দেখার জন্য। মহামায়ার মুল আকর্ষণ ঝর্ণার আশপাশ পরিণত হয় লোক লোকারণ্য। ঝর্ণার পানিতে গা ভাসিয়ে তরুনরা মেতে উঠে অন্যরকম আনন্দ উল্লাসে।
পর্যটক আশরাফ উদ্দিন সোহেল, নুরুল করিম, দিদারুল আলমসহ অনেকে জানান, মহামায়াকে পূর্নাঙ্গ পর্যটনের তীর্থভূমি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এ বিষয়ে মহা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া দরকার। দেশী বিদেশী বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রকল্পটিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই অনেকটা অভিভাবকহীন অবস্থায় চলছিলো প্রকল্পটি। সম্প্রতি বন ও পরিবেশন মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা নেয় মেসার্স আহসান ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান।lake2