বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে ছিটমহল বিনিময় প্রক্রিয়া। আর এ জন্য বাংলাদেশের ভারতীয় ছিটমহল রয়েছে এমন চার জেলার (কুড়িগ্রাম, নিলফামারী, লালমনিরহাট ও পঞ্চগড়) প্রশাসক  বৃহস্পতিবার কোচবিহারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। বৈঠকে ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত বিষয়গুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ৩১ জুলাই রাত ১২টায় চুক্তি কার্যকর হবে। আর ছিটমহলের বাসিন্দারা তাদের পছন্দ মতো নাগরিকত্ব বেছে নিতে পারবেন। তবে ২২ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কেউ কোনো জমি বিক্রি বা হাত বদল করতে পারবেন না। অবশ্য ভারতে চলে যেতে চান এমন কেউ ৩১ জুলাইয়ের পর সেদিন থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমি বিক্রি করতে না পারলে স্থানীয় জেলা প্রশাসন তাদের জমির দলিল রেখে পরবর্তী সময়ে জমি বিক্রির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

পঞ্চগড় জেলার প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ অংশে ৫০টি টিম এবং ভারতের ২৮টি টিম মাঠ পর্যায়ের কাজ করবে। পঞ্চগড় জেলার জন্য বাংলাদেশ ও ভারত উভয়পক্ষের একজন করে দুই জনের ১৮টি টিম কাজ করবে।

বৈঠকে ৩১ জুলাই অ্যাপোয়েন্টেড ডে বা নিরূপণ দিবসে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এছাড়া ২৫ ও ২৬ তারিখ মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক গণনা কাজ শেষ করা হবে। পরের দুই দিন এসব তথ্য লিপিবদ্ধ করা হবে। এখানে শুধু ২০১১ সালের পরে জন্ম নেয়া শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ৩১ জুলাই এই তথ্য প্রকাশ করা হবে।

এদিকে ছিটমহলবাসীদের বাংলাবান্ধা স্থল সীমান্তের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন হলদিবাড়ী দিয়ে নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চাওয়া মানুষরা নিজের বহনযোগ্য সম্পদ নিয়ে যেতে পারবেন। যেদিন থেকে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কার্যকর করা হবে তারপরের দিন থেকে সার্ভে টিম কাজ করবে। প্রকৃত দলিল যাদের রয়েছে তাদের নামেই জমি রেকর্ড করা হবে। আর খাস জমি ভূমিহীন মানুষদের মধ্যে বণ্টন করা হতে পারে বলে জানান পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক।