দিল্লি সফরে তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা (বি) চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দিল্লি গেলেন, আমরা চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকলাম। তিস্তা দিয়ে কলকল করে পানি আসবে আশায় ছিলাম। চাইলেন পানি, দিল বিদ্যুৎ। চাইলেন কামান, দিল বিস্কুট-ললিপপ।’

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘জাতীয় নির্বাচন ও নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানের বি চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তিস্তার পানির বিষয়ে আগে মমতার সঙ্গে সমঝোতা করে দিল্লি গেলে ভালো হতো। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের একটি রাজ্যের মন্ত্রীর কাছে হেরে গেলেন- এটা ভালো লাগেনি।’

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মমতা রাজি হননি, তাই মোদি দিলেন না। প্রশ্ন হচ্ছে- কে বড়? দিল্লি না কলকাতা? মমতা না মোদি?’

এসময় নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ১০ বা ১১ জনের মন্ত্রিসভা হবে, অর্ধেক তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপিকে নেয়ার তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন বিএনপিকে।

‘যদি প্রশাসনিক কূটচাল না হয় তাহলে এটা ভালো প্রস্তাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ওই প্রস্তাব আবারও দিতে পারেন’ যোগ করেন বি চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনমুখী চিন্তার কারণে মনে হয় তারা নিজের পক্ষে ভোট টানার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। হেফাজতের মধ্যে আরও যেসব সংগঠন আছে, তাদের সঙ্গেও প্রকাশ্যে বা গোপনে আলোচনা হতে পারে।

‘আদর্শ নাগরিক আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা, সাবেক মন্ত্রী সিরাজুল ইসলাম, নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদ।