পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চলতি অর্থবছর শেষে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে-বাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,চলতি অর্থবছর (২০১৬-১৭) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন আমাদের অর্থনীতির সব সূচক উর্ধ্বমূখী,এই ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে আশা করছি। এ সময় পরিকল্পনা সচিব তারিক উল ইসলাম,পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম ও খোরশেদ আলম চৌধুরী এবং আইএমইডি সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মুস্তফা কামাল বলেন,এখন আমাদের অর্থনীতির সব সূচকই ইতিবাচক থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে রেমিটেন্স প্রবাহ কিছুটা কমেছে।এর কারণ ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছে সরকার।আশা করি,২০১৮ সালে রেমিটেন্স প্রবাহ ১৮ বিলিয়নে উন্নীত হবে। দেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি চমৎকার উল্লেখ করে তিনি বলেন,বিনিয়োগ আরো বাড়াতে হলে শিল্প খাতে বিদ্যুৎ-গ্যাসের সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে।আগামী এক বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ-গ্যাসের বিদ্যমান সমস্যা দূর করতে সক্ষম হবো। তখন বিনিয়োগ পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হবে।
মুস্তফা কামাল বলেন,জিডিপির ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করতে হলে প্রয়োজন জিডিপির ৪ শতাংশ বিনিয়োগ। বিনিয়োগ ছাড়া কিছু আশা করা যায় না।বর্তমানে আমাদের বিনিয়োগ হার জিডিপির ৩০ শতাংশ বলে তিনি জানান। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সংস্থা আংকটাডের (ইউএনসিটিএডি) প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,এই সংস্থা বলেছে ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। তাদের মূল্যায়নে অর্থনীতির সব সূচকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।বর্তমানে কেবল সনদ পাওয়ার অপেক্ষায়।
তিনি বলেন,সমৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হলো জ্ঞানভিত্তিক মানব সম্পদ।তাই দক্ষ মানব শক্তি তৈরিতে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে সরকারের নানা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন তিনি।