গ্রিসের ঋণ সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক দাতাদের বেলআইট (ঋণ মওকুফ) প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির জনগণ। রোববারের গণভোটে শেষ পর্যন্ত বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে ‘না’ ভোটই। এই ফলাফলে স্বভাবতই হতাশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এদিকে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর গণরায় মেনে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন গ্রিসে ‘হ্যা’ ভোটের অন্যতম সমর্থক বিরোধী দলীয় নেতা এন্টোনিস সামারাস।
রোববার রাতেই গণভোটের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে গ্রিসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ‘না’ ভোটের পক্ষে ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৩ ভাগ। আর ‘হ্যা’ ভোট পেয়েছে ৩৮ দশমিক ৭ ভাগ ভোট।
এই ফলাফলকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস রোববার রাতে বলেছেন, গ্রিকরা ‘ইউরোপের সংহতি এবং গণতন্ত্রের’ জন্য ভোট দিয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, গণভোটের ফলাফল ইউরোপের বিপক্ষে নয়, বরং ঋণ সংকট মোকাবেলায় আলোচনার ক্ষেত্রে দেশটির সামর্থ্য বৃদ্ধির পক্ষে ভোট দিয়েছে ভোটাররা।
আগামীকাল সোমবার গ্রিস আবার আলোচনার টেবিলে ফিরে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে গণভোটের ফলাফলে স্বভাবতই হতাশ ইউরোপীয় নেতারা। তারা ‘না’ ভেটের এই বিজয়কে ঋণদাতাদের সঙ্গে আলোচনা সরাসরি প্রত্যাখ্যান হিসেবেই দেখছেন।
প্রাথমিক ফলাফল জানার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মের্কেল। আলোচনা শেষে তিনি জানিয়েছেন, ইউরো জোন নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার গণভোটের ফলাফল নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।
গণভোটের ফলাফলকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপিয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন স্যুলজ। তিনি গণভোটের দিনটিকে ‘একটি কঠিন দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর যে অবস্থান, অর্থাৎ গণভোটে ‘না’ এর মাধ্যমে দেশটি আলোচনায় একটি ভালো সমাধানে পৌছুতে সমর্থ হবে, আমি তা সঠিক মনে করি না। ইউরো জোনের অন্য আঠারোটি দেশ যে প্রস্তাব দিয়েছে, তার বিপক্ষে সমর্থন দিয়েছে গ্রিস।
এদিকে রোববারের গণভোটে পরাজিত হওয়ার পর দেশটির প্রধান বিরোধী দল নিউ ডেমোক্রেসি দলের নেতা এন্টোনিস সামারাস পদত্যাগ করেছেন।