বর্তমানে এক কোটি পাঁচ লাখ লোকের হাতে এই পাসপোর্ট রয়েছে বলে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এন এম রেজাউল আলম জানিয়েছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার বলেন,“হ্যাঁ, আমরা এ পর্যন্ত এক কোটি ৫ লাখ এমআরপি পাসপোর্ট মুদ্রণ করেছি। চেষ্টা করছি চলতি বছরের ২৪ নভেম্বরের মধ্যে দেশে-বিদেশে হাতে লেখা যত পাসপোর্ট আছে সেগুলোর পরিবর্তে এমআরপি পাসপোর্ট দেয়ার।”
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৪ নভেম্বরের পর থেকে হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে দেশে-বিদেশে যাতায়াত করা যাবে না। এরপর পৃথিবীর কোনো দেশেই আর হাতে লেখা পাসপোর্ট গ্রহণ করা হবে না।
“এজন্য আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে এখনও যেসব হাতে লেখা পাসপোর্ট আছে সেগুলোকে এমআরপি করে দিতে। আশা করছি তারাও (প্রবাসীরা) এ বিষয়ে উদ্যোগী হবেন,” বলেন মহাপরিচালক রেজাউল।
প্রবাসীদের মধ্যে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরতদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
২০১০ সালের ১ এপ্রিল এমআরপি প্রকল্পটি চালু করে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। প্রথমে একটি মেশিন নিয়ে কাজ শুরু হয়। বর্তমানে চারটি মেশিনে এই পাসপোর্ট মুদ্রণ হচ্ছে।
রেজাউল আলম বলেন, “এজন্য দেশে ও দেশের বাইরে আমাদের অফিস সম্প্রসারণ করতে হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৬৭টি অফিস থেকে এমআরপির আবেদন গ্রহণ করা হয়। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশি ৫৭টি দূতাবাস থেকে নেওয়া হয় এমআরপির আবেদন।”
বিদেশে অবস্থিত দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এসে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। এরপর ওই আবেদন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পাঠায়।