কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৩ জন যুগ্ন আহ্বায়ককে সাদা পোশাকের পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুরে আন্দোলনকারী ছাত্রদের একজন কালের কণ্ঠকে জানায়, বেলা সোয়া ১টার সময়ে ঢাবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনের পর দুপুরে খাওয়ার জন্য পাশ্ববর্তী চানখাঁর পুলের রেস্টুরেন্টে যাচ্ছিলেন তারা।
লাইব্রেরির সামনে থেকেই গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আমাদেরকে অনুসরণ করছিল। আন্দোলনকারীদের একজন যুগ্ন আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডের বিন ইয়ামিনকালের কণ্ঠকে জানান, অনুসরণকারীরা নুরুল হক নূর, রাশেদ খান ও ফারুক হাসানকে তুলে নিয়ে গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে।
বিন ইয়ামিন বলেন, ‘আমরা রিক্সায় করে চানখাঁর পুলের দিকে যাচ্ছিলাম দুপুরের খাবার খেতে। আমরা মোট ৭জন ছিলাম। তাদের মধ্যে ৩জন ছিল ছাত্রী। আমি পেছনের রিক্সায় ছিলাম।
হঠাৎ দেখি ৩টি মোটরসাইকেল আমাদের সামনের রিক্সাকে আটকায়। ওই রিক্সা থেকে নামিয়ে ৩ জনকে সাদা একটি মাইক্রেবাসে তুলে নিয়ে যায়। ’
তুলে নেওয়া ৩ জনের মধ্যে নূরুল হক ঢাবি ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী, ফারুক হাসান ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও রাশেদ খান ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ছাত্র। এদের মধ্যে নূর এবং ফারুক ছাত্রলীগের হলপর্যায়ের সাবেক নেতা। অপর একটি সূত্র জানায়, তুলে নেওয়া ৩ জনের অন্যতম রাশেদ খান ইসলামী ছাত্র শিবিরের সক্রিয় কর্মী। আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দেওয়া ছাড়াও ঢাবি ভিসির বাসভবনে নারকীয় তাণ্ডবে এই রাশেদ খান জড়িত।
একটি সহযোগী দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, ফেইসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন নামীয় অ্যাকাউন্টে তার শিবিরের সমর্থক হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তবে এমন অভিযোগের বিষয়ে এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান দাবি করেন, আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী। আমি কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না।
তিনি আরও দাবি করেন, ফেইক আইডির মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এদিকে, ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে ওই তিনজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি।