বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এরশাদকে পদত্যাগ করে জনতার কাতারে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এরশাদ সাহেব বলেছেন, ‌‌জীবন বাঁচাতে আমাকে ক্ষমতায় আসতে হবে।’ কিভাবে আসবেন? আপনি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। এখন আবার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে অনির্বাচিত সরকারের সহযোগী হয়েছেন। কাজেই বলবো আগে পদত্যাগ করে জনতার কাতারে আসুন। জনগণের সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন সেজন্য আগে জনগণের কাছে ক্ষমা চান। জনগণের কাতারে আসুন। জনগণ ক্ষমা করলে করতেও পারে।

সোমবার বিকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পার্টির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান, আহসান হাবিব লিঙ্কন, মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ।

ফখরুল বলেন, দেশ কঠিন দুঃসময় অতিক্রম করছে। ক্ষমতাসীনরা সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ভিন্নমতকে দমন ও ধ্বংস করতে চায়। অতীতেও এরা ভিন্নমত দমন করে শেষ পর্যন্ত একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন চালাচ্ছে। তাই আসুন মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জাতীয় ঐক্যে গড়ে তুলি। কারণ বাংলাদেশে কোথায় শান্তি নেই, কেউ নিরাপদ নয়। দেশ জবরদখলকারী, জুলুমবাজ ও অত্যাচারী সরকারের পাল্লায় পড়েছে।

ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল ও ভিন্নমত দমনে জাতীয় ঐক্যে বাদ দিয়ে দলীয় স্বার্থে জঙ্গিবাদকে ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করছে।

জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই -দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জঙ্গি অভিযোগে এবং জঙ্গি সন্দেহে এ পর্যন্ত যাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে তাদের সবাইকেই তদন্তের আগে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। এ ক্রসফায়ার কিসের আলামত?