রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার আকাঙ্খার মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার মধ্য দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর, বাছাই ২২ নভেম্বর এবং প্রত্যাহার ২৯ নভেম্বর। তার ২৪ দিন পর ২৩ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ। ৩০০টি আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচনে এবার ভোট দেবেন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ ভোটার। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়ে এ তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি।
সিইসি তার ভাষণে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহবান জানান। নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করার আশ্বাস এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সশস্ত্রবাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমান) মোতায়েনের ঘোষণা দেন।
গত ৩১ অক্টোবর থেকে নির্বাচনের ক্ষণগননা শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সংসদের মেয়াদ রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। এ নির্বাচনে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তির পরও নির্বাচনে শহর এলাকায় সীমিত আকারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন সিইসি।
প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করে। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া, গত ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার কমিশনার।
এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা জানিয়েছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে আগামী ৪ নভেম্বর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য তফসিল ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন।