আজ শুক্রবার একই দিনে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শুভ বড়দিন। দুই ধর্মের অনুসারীরা পৃথক পৃথক ভাবে নিজ নিজ ধর্মীয় মর্যাদায় দিনটি পালন ও উদযাপন করছেন।

হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী শুক্রবার ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রত্যেক মানুষের কাছে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সংগঠন এই দিনটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মহানবী (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবন নিয়ে আলোচনা, সমাবেশ, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত এবং ধর্মীয় শোভাযাত্রা।

অন্যদিকে, একই দিনে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন পালিত হচ্ছে। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এ দিন বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এ ধরায় আগমন ঘটেছিল।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা, আচার, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ও বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন  বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও শুভ বড়দিন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।