১৯৫৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে ইতালি। প্রথম লেগে সুইডেন থেকে ০-১ গোলের হার নিয়ে বাড়ি ফেরে ইতালি। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে যেতে হলে ২ গোলের ব্যবধানে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না আজ্জুরিদের। তবে স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা ও সুইডিশ ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় প্রতিপক্ষের জালই খুঁজে পায়নি চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

শুধু ইতালির জনগন নয়; গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বুফনদের সমর্থকরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ইতালি নেই! তাহলে ইতালির অবস্থাটা কী ভেবে দেখুন। ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছে জিয়ানলুইজি বুফনের সেই কান্না।

ইতালির সংবাদমাধ্যমগুলো এই ঘটনাকে ‘মহপ্রলয়’ হিসেবে দেখছে।  এটা যেন অবিশ্বাস্য এক সময় যাচ্ছে দেশটির ক্রীড়াঙ্গণে।  ‘ইতালি, এটাই মহাপ্রলয়!’ শিরোনামে ক্রীড়াদৈনিক গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত লিখেছে, ‘একের পর এক সুযোগ হারানো, দুর্ভাগ্য এসব তো ছিলই। তারপরও, সুইডিশদের বিপক্ষে ১৮০ মিনিটেও একটা গোল করা গেল না!’

পত্রিকাটি আরও লিখেছে, ‘এই ফুটবল-লজ্জা সহ্য করা কঠিন। এটি একটি অমোচনীয় দাগ। সব শেষ। মহাপ্রলয়, দুঃখগাথা, বিপর্যয়!’

ফেডারেশনের সভাপতি কার্লো তাভেচ্চিও বলেছেন, ‘এটা আমাদের ফুটবলের জন্য একটি মহাবিপর্যয়। এই ব্যর্থতা মুছতে সমন্বিত সিদ্ধান্ত দরকার। ভবিষ্যতে কী করতে হবে, সেসব বিশ্লেষণ করতেই সভা আহ্বান করা হয়েছে। ‘ 

অনেকে আবার এই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন ইতালির ক্রীড়ামন্ত্রী লুকা লট্টি। তিনি বুফনের উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেছেন, ‘বুফনের কথাটাই আমি বলব। ফুটবলের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। গত দুটি বিশ্বকাপেও আমরা প্রথম রাউন্ড পেরোতে পারিনি। অনেক কিছুই করার আছে। আমার মনে হয়, এই নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে দেশের ফুটবলকে আমাদের পুনর্গঠন করতে হবে। ‘