সাম্প্রতিক একটি বিজ্ঞাপনে আমির খান কে দেখা গেছে বিতর্কিত কোম্পানি ‘সওদার’র প্রচারনায়। কিন্তু সেই অনলাইন শপিং কোম্পানির বিরুদ্ধেই আছে প্রেসক্রিসশন ছাড়া ওষুধ বিক্রির অভিযোগ। এর আগে বিজ্ঞাপনে বর্ণবৈষম্যেকে ইন্ধন দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল ঐশ্বর্য রাইয়ের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, ছবির ফটোশুটের সময় বিজ্ঞাপনটি এরকম ছিল না। পরে অবশ্য সে বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেয়া হয়। আমির খানের তরফ থেকে অবশ্য এরকম কোনও সিদ্ধান্তের কথা এখনও জানা যায়নি। আমিরের মতো জনপ্রিয় নায়ক যখন একটি সংস্থাকে প্রমোট করেন তখন তার ইমেজই আসলে বিক্রি হয়। গর্হিত একটি কাজে আমিরের সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তার ইমেজ নিয়েই।
বিজ্ঞাপন অনুযায়ী আমির খানকে দেখা যায়, তার অবস্থান হয় দুরকম। যেমন তিনি বলেন, ছবিতে গালাগালি যদি কারও পছন্দ না হয়, তাহলে তিনি এ ছবি দেখবেন না। সে ছবি ছিল তার নিজের প্রযোজনায় তৈরি ‘দিল্লি বেল্লি’। আর এআইবিরোস্ট নিয়ে তার অবস্থান ছিল একেবারে বিপরীতে, তখন তার বক্তব্য ছিল এ ধরনের রসিকতা একদমই বাঞ্ছনীয় নয়। তিনি ‘সত্যমেব জয়’ অনুষ্ঠানে চিকিৎসা জগতের অসাধুতা নিয়ে কথা বলেন৷ আবার তিনিই এমন এক অনলাইন শপিং কোম্পানিকে প্রমোট করেন যারা প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রিতে অভিযুক্ত।
বেশ কিছু কাফ সিরাফ ও ট্যাবলেট বিক্রি করে স্ন্যাপডিল যেগুলো শুধু ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থাকলেই বিক্রি করা যায়। ঘটনাটি নজরে আসে মাহারাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিষ্ট্রেশনের(এফডিএ)। ঘটনাটি নিয়ে বিষদে তদন্ত শুরু করে এফডিআই। কোন কোন সংস্থা স্ন্যাপডিলের এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, তার খোঁজ নেয়া হয়। সংস্থার সিইওর নামে এইআইআর দায়ের করারও সিদ্ধান্ত নেয় এফডিআই। স্ন্যাপডিলের এই ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশও দিয়েছে এফডিআই। এ ঘটনা ঘটার পরও আমির খান বিজ্ঞাপন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি। সত্যমেব জয়তের মতো অনুষ্ঠানে যে আমির প্রায় ক্রুসেডারের ভূমিকা পালন করেন, ছবিতে সামাজিক বিষয় তুলে এনে বাজিমাৎ করা যার নিয়মিত কৌশল, তিনি যে কী করে এরকম একটি জিনিসকে সমর্থন করছেন, তা নিয়ে ধন্ধে সকলেই।