খুলনার এক নারীকে চাঁদপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ‘আত্মস্বীকৃত সিরিয়াল কিলার’ রসু খাঁর ফাঁসির রায় দিয়েছে একটি আদালত।
চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইন্যুবালের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুনাভ চক্রবর্তী বুধবার সাত বছর আগের ওই ঘটনার রায় ঘোষণা করেন।
আসামি রসু খাঁ এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলার বিচার চলাকালে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ১১ নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
রায়ে একটি ধারায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক। এছাড়া অন্য একটি ধারায় তাকে ৮ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০০৮ সালের ১৮ অগাস্ট ফরিদগঞ্জের নানুপুর খালপাড়ে খুলনার দৌলতপুরের সজলা গ্রামের সাহিদা বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন রসু। পরে পুলিশ সাহিদার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে।
ওই সময় চাঁদপুর মডেল থানার তৎকালীন এসআই নজরুল ইসলাম অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু তদন্তে কোনো তথ্য না পেয়ে মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ২০০৯ সালের ২০ জুলাই টঙ্গীর নিরাশপুর মসজিদের ফ্যান চুরির একটি মামলায় রসু খাঁকে গ্রেপ্তার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর একের পর এক হত্যারহস্যের জট খোলার খবর দিতে শুরু করে পুলিশ। রসুর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ১১ নারীকে হত্যার অভিযোগ।
অন্যদিকে আসামির আইনজীবী নইমুল ইসলাম বলেন, “এই রায়ে ন্যায়বিচার হয়েছে কিনা তা মহামান্য হাই কোর্ট নির্ধারণ করবে। এটা প্রাথমিক জাজমেন্ট।”