দক্ষিণ এশিয়ার অপরাধ জগতের সবচেয়ে কুখ্যাত ব্যক্তি দাউদ ইব্রাহিম। মুম্বাই বোমা হামলা থেকে শুরু করে অনেকগুলো হামলার জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দাউদ ইব্রাহিমকে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভূক্ত করা হয়। যদিও এখন পর্যন্ত এই মাফিয়া প্রধান আত্মগোপনে থাকায় তাকে বিচারের আওতায় আনা না গেলেও তার কয়েকজন সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়েছিল ভারত পুলিশ। তবে বেশকিছু মামলায় দাউদ ইব্রাহিমের অনুপস্থিতিতেই তার মৃত্যুদণ্ড ধার্য করা হয়েছে।

সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শারদ পাওয়ার প্রায় হঠাৎ করেই জানান যে, শর্তসাপেক্ষে দাউদ ইব্রাহিম ধরা দিতে চাইলেও রাজ্য সরকার তার শর্ত মানতে রাজি নয়। এক বক্তব্যে এই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জানান, নেতৃস্থানীয় আইনজীবি রাম জেঠামালানির সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের যোগাযোগ হয়েছে এই মর্মে যে রাজ্য সরকার যদি তার কিছু শর্ত মানে তবেই তিনি আত্মসমর্পণ করবেন।

১৯৯০ সালের দিকে শারদ পাওয়ার যখন মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় ছিলেন তখনই দাউদ ইব্রাহিম এই শর্ত দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সত্যি যে রাম জেঠামালানিকে দাউদের ফিরে আসার ব্যাপারে একটি প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু শর্তানুযায়ী দাউদকে কারাগারে রাখা যাবে না, তাকে তার বাসগৃহে রাখতে হবে। এটা কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। আমরা বলেছি যে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’

১৯৯৩ সালের মুম্বাইয়ে সিরিজ হামলার জন্য দোষারোপ করা হয় দাউদ ইব্রাহিমকে। মূলত সেই সময় থেকেই পলাতক জীবনযাপন করছেন তিনি। সেসময় রাম জেঠামালানির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে ওই প্রস্তাবটি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন কংগ্রেস নেতা শারদ পাওয়ার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলেন।