২০১৮ সালের মধ্যে দেশের সব ভোটারের হাতে উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পুরোদমে স্মার্টকার্ড উৎপাদন ও বিতরণ শুরু করেছে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি)।
বর্তমানে দেশের ৩৭টি জেলায় স্মার্টকার্ড বিতরণ চলছে। স্মার্টকার্ড প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক সরে দাঁড়ালেও সরকারি অর্থায়নে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এনআইডির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে চলমান প্রকল্প আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্স একসেস টু সার্ভিসেস বা আইডিইএ-এর মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হচ্ছে বলে ইসির সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে আইডিইএ প্রকল্পের পরিচালক ও এনআইডি উইং-এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চলতি মাসেই চুক্তি শেষ হচ্ছে। তবে প্রকল্প না থাকলেও এখানকার জনবল টিকিয়ে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা রয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার এ প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়াতে সম্মত হয়েছে। এখন শুধু দরকার আনুষ্ঠানিকতা।
মহাপরিচালক বলেন, মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে না। বরং বিভিন্নভাবে স্মার্টকার্ড প্রকল্পে ৪০১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক গ্যারেন্টির ১২৩ কোটি, ফ্রান্সের ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৪৩ কোটি, রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৯৫ কোটি এবং নিজস্ব উদ্যোগে কার্ড মুদ্রণ ও বিতরণের কারণে ৪৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। প্রকল্পে এক হাজারের বেশি দক্ষ জনবল রয়েছে। ওই টাকা ও দক্ষ জনবলের কারণে প্রকল্পের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কোনো অসুবিধা হবে না। এরপরও সরকার প্রকল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে টাকা খরচ ও মেয়াদ বাড়ানোতে সম্মতি দেওয়ায় অনেক জটিলতার অবসান হতে যাচ্ছে।