আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বঙ্গন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকারের সফলতায় বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তির এ মহান বিজয় দিবসে মানুষের ঢল নেমেছিল। সাম্প্রদায়িকতা রুখে দেবার প্রত্যয় নিয়ে বাংলার শহর-বন্দর গ্রামগঞ্জের মানুষ বিজয়োৎসব পালন করেছে। নতুন প্রজন্মের বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস ও গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনে নেতাকর্মীদের করণীয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেছেন। এর আগে তিনি সিরাজগঞ্জের চরমালশাপাড়ায় যমুনারপাড়ে চায়না বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত তিন দিনের জেলা ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করে বয়ান শুনেন। তিনি ইজতেমার আয়োজক মুরুব্বী ও মুসুল্লিদের সাথেও কুশল বিনিময় করেছেন। আসর ও মাগরিবের নামাজও তিনি ইজতেমা মাঠে আদায় করেন।
সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউসে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনী এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রতিজন নেতাকর্মীদের সরকারের উন্নযন কর্মকাণ্ড জনগণের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন এবং জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের বিজয় অর্জিত হবে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সংবিধান অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধিনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে তিনি বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপি যদি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে এবং অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ড করে তবে জনগণই তার জবাব দেবে। বিএনপি দল হিসেবে ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি বলেছেন- বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তিতে তরুণ প্রজন্মের উচ্ছাস ও অভূতপূর্ব গণজাগরণ প্রমাণ করেছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি ছাড়া এদেশে কোন অপশক্তির স্থান হবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতির জনকের হত্যাসহ জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার করেছেন, একাত্তরের ঘাতক মাস্টারমাইন্ডদের বিচারে আদালতের রায়ও বাস্তবায়ন হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়নের ধারার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মহান বিজয় দিবসে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল।