কানাডা প্রবাসী কবি ও কথাসাহিত্যিক ইকবাল হাসান। পেয়েছেন বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার। এবারের মেলায় লেখকের মোট ছটি গ্রন্থ ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ইকবাল হাসান বলেন, আমরা নিজেদের যাই মনে করি না কেন, প্রকৃত সত্য হচ্ছে, বিদেশে আমাদের ভাষা ও সাহিত্যের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ছাড়া ওরা অন্য কোন লেখকের নাম জানে না। আমরা আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি বিদেশিদের আগ্রহ তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের দেশের মৌলিক লেখকদের লেখা ইংরেজি, ফরাসি ও স্প্যানিস ভাষায় ব্যাপকভাবে অনুবাদ হলে হয়তো বিদেশে আমাদের ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে কিছুটা আগ্রহ অন্তত তৈরি হবে। বাংলা একাডেমি এই কাজটি করতে পারে।
তিনি বলেন, এবারের বইমেলা বই বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড করবে। তবে বই প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রকাশকদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে বইয়ের পান্ডুলিপি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যোগ্য সম্পাদনা অপরিহার্য।
এবারের মেলায় ইকবাল হাসানের প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হচ্ছে, আলো আঁঁধারে কয়েকটি সোনালি মাছ (গল্প/ সময়), একদা চৈত্রের রাতে (কবিতা/ রয়েল পাবলিকেশন্স), ছায়ামুখ ও আশ্চর্যকুহক (উপন্যাস/ অনিন্দ্য), প্রেম বিরহের অনুকাব্য (অনুকবিতা/ পরিবার পাবলিকেশন্স), কিছু কথা কথার ভেতরে (গদ্য/ পরিবার), নির্বাচিত গল্প ( ধ্রুবপদ) ও কবি শহীদ কাদরী স্মারকগ্রন্থ (সংকলন/ বাংলা একাডেমি)। প্রচ্ছদ শিল্পী, ধ্রুব এষ, মাসুম রহমান ও মামুন হোসাইন।