যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতার জন্য আবারো গণভোটের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জনের উত্থাপিত গণভোটের প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে ৬৯-৫৯ ভোটে পাস হয়ে যায়। এর ফলে এখন গণভোট আয়োজনের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবেন স্টার্জন। এ জন্য তাকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে।

তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আগেই বলে রেখেছেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি গণভোটের আয়োজনকে ঠেকিয়ে দেবেন। আজ বুধবার (২৯ মার্চ) এই প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার কথা রয়েছে তার।

পার্লামেন্টের রায়ের পর স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন বলেন, ‘আমি আশা করি যুক্তরাজ্যের সরকার স্কটিশ পার্লামেন্টের এই ইচ্ছাকে সম্মান জানাবে।’

এর আগে গত সোমবার (২৭ মার্চ) গ্লাসগোতে স্টার্জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন থেরেসা মে। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, এখন গণভোটের সময় নয়। এখন আমাদের গোটা যুক্তরাজ্যের জন্য বেক্সিটের সুফল নিশ্চিত করার বিষয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেও স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটে অংশ নেয় স্কটল্যান্ড। তবে ওই গণভোটে স্কটল্যান্ডের বেশিরভাগ নাগরিকই যুক্তরাজ্যের অংশ হিসেবে থেকে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন। এর মধ্যে গত বছরের জুনে গোটা যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট গণভোটে অংশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলে নতুন করে আলোচনায় আসে স্কটল্যান্ডের স্বাধীন হওয়ার প্রসঙ্গটি। এরই ধারাবাহিকতায় স্কটিশ পার্লামেন্ট পুনরায় যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হওয়ার জন্য গণভোট আয়োজনের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিলো। বিবিসি।