সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি বাহিনী ও তুরস্কপন্থি বিদ্রোহীদের সঙ্গে কুর্দি বেসামরিক বাহিনীগুলোর লড়াইকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বর্ণনা করে এ লড়াই অবশ্যই বন্ধ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) উপস্থিত নেই সেখানে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই ‘গভীর উদ্বেগের উত্স’ মন্তব্য করে ট্যুইট করেছেন আইএস-বিরোধী জোটের যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি।
গেল সপ্তায় সিরীয় সীমান্ত অতিক্রম করার পর থেকে তুর্কি বাহিনী কুর্দি বেসামরিক বাহিনীগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে আক্রমণ শুরু করে। কিন্তু কুর্দি ওয়াইপিজি বেসামরিক বাহিনী বলছে, তুরস্কের উদ্দেশ্য সিরীয় ভূখণ্ড দখল করা।
আগামী রবিবার চীনে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন চলার সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বৈঠক করার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে ওবামা সিরিয়ার বিষয়টি আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
আঙ্কারা জানিয়েছে, তারা আইএস এবং কুর্দি বেসামরিক বাহিনী উভয়কেই তাদের সীমান্ত থেকে হটানোর লক্ষ্য নিয়েছে। তুর্কি বাহিনী এবং সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) তুর্কিপন্থি একটি অংশ মিলে বুধবার আইএসকে সিরীয় সীমান্ত শহর জারাবলুস থেকে হটিয়ে দেয়। এরপর থেকে এই দুই বাহিনী মিলে জারাবলুসের আশপাশের কুর্দি-নেতৃত্বাধীন সিরিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ) নিয়ন্ত্রিত গ্রামগুলোতে হামলা চালাতে শুরু করে। এসডিএফ যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বাহিনী। সোমবার তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে জানানো হয়, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় তুর্কি সামরিক বাহিনী জারাবলুসের আশপাশের ২০টি লক্ষ্যে ৬১টি কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে।
কুর্দি বেসামরিক বাহিনীগুলোকে ইউফ্রেতিস নদীর পূর্বদিকে সরে যেতে বাধ্য করেছে তুরস্ক। এসডিএফভুক্ত কুর্দি পপুলার প্রোটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) জানিয়েছে, তাদের বাহিনী আগের অবস্থান থেকে সরে গেছে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে তুর্কি অভিযান আসলে সিরীয় ভূখণ্ড দখল করার অজুহাত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার বলেছেন, “ওয়াইপিজি ইউফ্রেতিস নদীর পূর্বদিকে চলে যেতে রাজি আছে এবং চলে যাচ্ছে।” তিনি তুর্কি বাহিনীকে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে এসডিএফের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে না পরার পরামর্শ দিয়েছেন।