আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন কয়েক দশকের মধ্যে সবচে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জনপ্রিয়তার দৌড়ে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টি দু’দলের ব্যবধান খুবই সামান্য।

এ নির্বাচনে ১২ জনেরও বেশি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এমপি প্রার্থী হওয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতেও সরকার গঠনের বিষয়টি এখন আলোচনার তুঙ্গে।

ব্রিটেন জুড়ে নির্বাচনী হাওয়া যেন খানিকটা অন্যমাত্রা পেয়েছে সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন জরিপের ফলাফলে। শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর জরিপে দেখা যাচ্ছে কনজারভেটিভ কিংবা লেবার কোন পার্টিই সরকার গঠনের মত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। আর তা যদি হয় তাহলে বিগত ত্রিশ বছরের মধ্যে এই প্রথম ব্রিটেনে গঠিত হবে কোয়ালিশন সরকার।

ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব আহবায়ক রেজা আহমেদ ফয়সল চৌধুরী শোয়াইব বলেন, ‘কেউই মেজরিটি পাচ্ছেনা। মেজরিটি না পেলে কি হবে শেষ পর্যন্ত? এটা নিয়েই ভাবছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা দিনের পর দিন বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এসব নিয়ে লিখছেন।’

ব্রিটেনে এর আগের নির্বাচনগুলোতে জরিপের ফলাফল আর নির্বাচনের ফলাফলে খুব বেশি পার্থক্য দেখা যায়নি। আর তাই এখনই নির্বাচন পরবর্তী হিসেব নিকেশ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে জোরেশোরে।

রেজা আহমেদ ফয়সল চৌধুরী শোয়াইব আরও বলেন, ২৬৭টি যদি লেবার পায় এবং কনজারভেটিভ যদি ২৭৭ যেটি এখন ক্ষমতাসীন দল। স্কটিশ নেশনালাইজ পার্টি যদি ৫৫ সিট পায় এবং লিবড্যাম যদি আরও ১০টা পায় তাহলে কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারছে না।’

যে কোনো দলের এককভাবে পার্লামেন্ট গঠন করতে প্রয়োজন ৩২৬ আসনের। তবে জরিপের ফলাফল অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ২৭৭ টির বেশি আসন পাচ্ছে না কেউই। এ পরিস্থিতিতে সরকার মূল শক্তি হয়ে দাঁড়াতে পারে স্কটল্যান্ড ন্যাশনাল পার্টি বা এসএনপি।

সাপ্তাহিক বাংলা সংলাপ সম্পাদক মোশাহিদ আলী বলেন, ‘কনজারভেটিভ যদি সরকার গঠন করতে চায় তাহলে এসএনপি তাদের সাথে যাবে না। যেহেতু এসএনপি যাবে না, তাদের সাথে একমাত্র লিবড্যাম আছে। লিবড্যাম নিলেও তাদের সরকার গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না।’

কোয়ালিশনে যেতে এসএনপি’র মূল শর্ত হতে পারে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা ইস্যু। আর তাই অনেকেরই ধারণা ১ বছরের মধ্যেই সরকার পুনর্গঠন কিংবা নতুন নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে।

মোশাহিদ আলী আরও বলেন, ‘যদিও কনজারভেটিভ বা লেবার পার্টি এসএনপিকে নিয়ে সরকার গঠন করে তার পরেও এই সরকার দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সর্বোচ্চ ১ বছরের মধ্যে পার্লামেন্ট ভাঙ্গবে এবং আবার নির্বাচন হবে।’

তবে ব্রিটেনের রাণীর অনুমতি সাপেক্ষে ৭ই মের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলের সংখ্যালঘু সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।