তথ্য অনুযায়ী, এনটিআরসিএ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরভিত্তিক শূন্য পদের সংখ্যা নিরূপণ, শূন্য পদের সংখ্যা অনুযায়ী লিখিত নিবন্ধন পরীক্ষার পর নির্ধারিত নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে উপজেলা, জেলা ও জাতীয় ভিত্তিক মেধা তালিকা করবে। এরপর মেধাক্রম ও চাহিদা অনুযায়ী প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করবে। স্কুল-কলেজ পরিচালনা কমিটি শুধু যোগদানপত্র দেবে। তবে কোনো প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নম্বর না পেলে মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।
শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেছেন, এটা করা গেলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগ আছে, তা দূর হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ করতে চাই। মেধাবীদের বাছাইয়ের জন্যই মেধা তালিকা তৈরি করে স্কুলে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে আমরা একটি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ গঠন করবো। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, কোন এলাকায় একটি স্কুলে শিক্ষক প্রয়োজন হলে তারা শুধু ‘চাহিদাপত্র’ পাঠাবেন। আমরা শিক্ষকদের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে তালিকা পাঠিয়ে দেব। ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ শুধু নিয়োগ দেবে। মন্ত্রী বলেন, আমরা সকলের মতামত নিয়েছি। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আরো মতামত নেব।
বর্তমান নিয়মে সংসদ সদস্যরা নিজ নির্বাচনী এলাকার সর্বোচ্চ চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে পারেন। অন্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হন এমপিদের পছন্দের ব্যক্তিরা। এ কারণে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাই প্রাধান্য পায়। মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা হারাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি। সারা দেশে প্রায় ১৯ হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, সাড়ে তিন হাজার কলেজ ও সাড়ে নয় হাজার মাদ্রাসা রয়েছে।