প্রস্তাবিত এই আইনে বেপরোয়া গাড়ি চালনায় কারো মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর প্রস্তাব করা হয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষজ্ঞরা এই শাস্তি ১০ বছর রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। জবাবে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘সভায় নিরাপদ সড়ক গড়তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কোন কোন কর্মকর্তার জন্য পুরো বাস্তবায়ন হচ্ছে না তা এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যালোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর নগর পরিবহনের বাসগুলোয় হাইড্রোলিক দরজা সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

গতকাল সভায় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রস্তাবিত এই আইনের কিছু অংশের সংশোধনের প্রস্তাব করেন। তিনি প্রস্তাবিত আইনে এই শাস্তি ১০ বছর রাখার প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া বিশিষ্ট কলামিস্ট ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদও এ আইনের কিছু অংশের সংশোধনের প্রস্তাব করেন।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামিয়ে বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া চালক দুর্ঘটনা ঘটালে ৩০২ ধারার মামলার বিধান রাখতে হবে। তিনি বলেন, ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের শাস্তি দুই বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। কিন্তু যার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তার ছয় মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। ধরা পড়লে তো ফেক লাইসেন্সধারী বলবে তার লাইসেন্স নেই। দুটি ক্ষেত্রেই দুই বছরের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া জাতীয় সংসদের অধিবেশনই হবে এই সরকারের শেষ অধিবেশন। এরপর আর কোনো অধিবেশন নেই। তবে সংসদ ভাঙবে না। কিন্তু অধিবেশনও হবে না। সংসদ সদস্যদের ক্ষমতাও আর থাকবে না।