ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালকে সহায়তা দিতে বিদেশি ত্রাণবাহী বিমান বাংলাদেশের বিমানবন্দর ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ দেন।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত এক মন্ত্রী জানান, এখন ট্রানজিট সুবিধার মাধ্যমে বিদেশি ত্রাণবাহী বিমান বাংলাদেশে নেমে নেপালে ত্রাণসামগ্রী পাঠাতে পারবে। তিনি জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নেপালে ভূমিকম্পে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশেও ভূমিকম্প হতে পারে। তাই ভূমিকম্প মোকাবিলায় আমাদের সবটুকু সামর্থ্য দিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নেপালকে সহায়তা দিতে যেকোনো দেশের ত্রাণবাহী বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তেজগাঁও বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
গত শনিবার নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে গতকাল পর্যন্ত প্রায় চার হাজার লোকের প্রাণহানি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নেপালে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে ৩০ সদস্যের একটি দল ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসা দিতে শিগগির নেপাল যাচ্ছে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি শক্তিশালী দল দুই-এক দিনের মধ্যে নেপালে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা দিতে যাবে।