বাংলাদেশ কল্যান ট্রাস্ট জার্মানি’র উদ্যোগে শনিবার বিকালে ফ্রাঙ্কফুর্টের সালবাউ অডিটোরিয়ামে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বর্ণিল আয়োজনে বৈশাখী উৎসব ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। তবে বাংলাদেশ কল্যান ট্রাস্ট জার্মানি’র উদ্যোগে বৈশাখী উৎসবটি ছিল অনেকটাই বেতিক্রম ধর্মী। উক্ত অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্ম এনং উপস্থিত বিদেশিদের জন্যে বাঙ্গালির প্রাচীন ইতিহাস ডকুমেন্টারির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। আলোচনায় তুলে ধরা হয় বাংলা পঞ্জিকার আদি ইতিহাস। জার্মানিতে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী এতে অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী দেওয়ান শফিকুল ইসলাম , আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ কল্যান ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মঞ্জুর হোসেন সরকার এবং উপস্থিত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আনোয়ার কবির। মন মাতানো এ অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ সাথী আক্তার, শাহ আলম, শামিমা আক্তার, রোকন, বেলাল হোসেন এবং সহযোগিতায় ছিলেন রাসেল, এমদাদ, মাসুদ কবির, মঞ্জু, হৃদয়, সজল সহ সংগঠনের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহন এবং তাদের নাচ গান উৎসবকে করে তুলেছিল আনন্দময়। বৈশাখী সাঁজে সজ্জিত জার্মানি প্রবাসী বাঙালি রমনীদের অংশগ্রহন ছিল লক্ষনীয়। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক সবাই মগ্ন ছিল উৎসবে। নাচ, গান, কবিতা সব কিছু মিলিয়ে পুরু অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল প্রবাসের বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ।
জার্মানি প্রবাসী শিল্পী রিয়েল আনোয়ার, মিথি মারজান, নিম্মি কাদের, পলি, সুমি, শিউলির একের পর এক দেশীয় গান অনুষ্ঠানকে করে তুলেছিল প্রাণবন্ত। অসংখ্য গান, নৃত্য, আবৃতি, কৌতুক সহ সব কিছু যেন সবাইকে হারিয়ে দিয়েছিল প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে। কয়েকটি ভাগে বিভক্ত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশী খাবারের ব্যাপক আয়োজন।
সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সকল দলের এবং সকল মতের বাঙালি কমিউনিটির প্রায় সবাই এই উৎসবে অংশগ্রহন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রতি বছর অধীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করে এই উৎসবটির জন্য। তাঁরা জানান, একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সবাই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ফলে এটি একটি বার্ষিক মিলন মেলায় পরিনত হয়।
প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝে এই উৎসব সবার জীবনে নিয়ে আসে নতুন করে পথচলার উদ্দীপনা। নতুন করে ভালবাসতে শিখায় দেশকে এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে, এমনটাই বলছিলেন অংশগ্রহণকারীদের অনেকে।