পর পর তিন নম্বর মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই কয় বছরে রাশিয়ার চেহারা বেশ পাল্টে ফেলেছেন তিনি। পররাষ্ট্র নীতি ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে যেমন তিনি সমালোচিত ঠিক তেমনি দেশের ভেতরেও আলোচিত ব্যক্তি তিনি। প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী এ মানুষটি গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাজির হয়েছিলেন জনতার সঙ্গে সরাসরি ফোনালাপের এক অনুষ্ঠানে।

রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলতে ফোনলাইনে অপেক্ষায় ছিলেন ৩০ লাখ লোক। অনুষ্ঠানে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার অবস্থান, ইউক্রেন ইস্যু এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে যেমন প্রশ্ন এসেছে, তেমনি সাধারণ লোকজন সুযোগ পেয়ে তাদের ঘরের প্রয়োজনীয় বিষয়েও প্রশ্ন করেছেন পুতিনকে।

একজন টেলিফোনে পুতিনকে জিজ্ঞেস করেন, আচ্ছা সরকার আপেলের দাম কমাচ্ছে না কেন? আরেকজনের প্রশ্ন-আপনি কি জাতিসংঘের মহাসচিব হতে চান? চার বছরের এক কন্যা শিশু পুতিনকে জিজ্ঞেস করেছে, প্রেসিডেন্ট হওয়া কি খুব কঠিন কাজ? আপনি রাতে কতক্ষন ঘুমান? কারণ আমি ঘুমাতে পছন্দ করি।

এক নারী পুতিনের কাছে তার বান্ধবীর স্বামীর বিষয়ে অভিযোগ করেছে। তিনি জানান, তার বান্ধবীকে জম্মদিনে একটি কুকুর উপহার দিতে চান তিনি। কিন্তু তার বান্ধবীর স্বামী বরিস-সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এটা চান না। ওই নারী পুতিনকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন ব্যাপারটা একটু সামাল দেন, যাতে তিনি তার বান্ধবীকে কুকুরটি দিতে পারেন।

পুতিন হেসে জবাব দেন, এটা করা আসলে তার জন্য বেশ কঠিনই। তবে তিনি বরিসের সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করবেন এবং তাকে বুঝিয়ে বলবেন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে সাধারণ মানুষকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করেন পুতিন। তিনি তাদের দৈনন্দিন সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করেন এবং সেগুলি লিখে নেন। পরে তিনি তাদের সেসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন।