বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম চলবে। মামলা বাতিলের বিষয়ে খালেদার আবেদন ও এ-সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি খালেদাকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এই রায় দেন।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্পষ্ট চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত ও রুল জারি করেন আদালত। পরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। এর আগে গত ২৮ মে শুনানি শেষ হলে যেকোনও দিন রায় দেওয়া হবে জানিয়ে অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন হাইকোর্ট। আজ ওই রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়।

দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান জানান, এর ফলে এ মামলার কার্যক্রম চলতে আর বাধা নেই।

খালেদা জিয়ার পক্ষে রুলের শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, রাগীব রউফ চৌধুরী ও এ কে এম এহসানুর রহমান। । দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন মো. খুরশিদ আলম খান।