সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সন্ত্রাস, দুর্নীতিমুক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে যথাযথ পদপেক্ষ নিতে আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয নেতা রওশন এরশাদ। বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা ও চলতি অধিবেশনের সমাপনি বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।
রওশন এরশাদ বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত আরো মজবুত হয়েছে। এ নির্বাচন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকরূপ দিতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ নির্বাচনের পর বাংলাদেশ সিপিএ ও আইপিইউতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছে। এটা এ সংসদ ও গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বের স্বীকৃতি।
তিনি আন্তর্জাতিক সংসদীয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারপার্সন ও সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান।
বেগম রওশন এরশাদ তার প্রায় এক ঘন্টার অধিক সময়ের বক্তৃতায় সমুদ্র বিজয়, শিক্ষায় জেন্ডার সমতা অর্জন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন বিষয়সহ বিভিন্ন খাতে সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদ আহরণ, নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিদ্যুৎ, জ্বালানী খাত উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা, দারিদ্র্য বিমোচন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি জানান।
বিরোধীদলীয নেতা বলেন, দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিমাণগত উন্নয়ন হলেও গুণগত উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে লাখ লাখ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছে না। এর ফলে শিক্ষার মান নিয়ে কথা উঠেছে। ফলে এ বিষয়ে সরকারকে এখনই কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। তিনি নদী দূষণ রোধ ও নাব্যতা বজায় রাখা এবং ভারতের সাথে অভীন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্সা আদায় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।