সোমবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান নেপালের কাঠমাণ্ডুতে খোলা মাঠে বিধ্বস্ত হয়। সাথে সাথেই বিমানের ভেতর থেকে ধোয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসতে শুরু করে। গাঢ় ধূসর কুণ্ডলী চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় নেপালি লোকজন চিৎকার করে ‘বাঁচাও, বাঁচা’ বলে সাহায্য চাচ্ছিলেন। আর বাংলাদেশিরা বলছিলেন-‘হেল্প মি, প্লিজ হেল্প মি…। বালকৃষ্ণ উপধ্যায় নামে একজন উদ্ধারকারী সেনা কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
কৈলাশ অধিকারী নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘বিধ্বস্ত বিমানটি থেকে বোমা বিস্ফোরণের মতো শব্দ হয়েছে। আগুন নেভাতে দমকলকর্মীদের ১৫ মিনিট সময় লেগেছে। তারা যদি আরেকটু আগে আসতেন, তবে আরও বেশি লোককে প্রাণে বাঁচানো যেত।
উপধ্যায় বলেন, ‘পুরো ঘটনাটি ছিল বিভীষিকাময়। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বিমানের কাছে দিকে গিয়ে ভেতর থেকে যতজনকে সম্ভব বের করে আনার চেষ্টা করেন উদ্ধারকারীরা।
তিনি বলেন, ‘আমি নেপালি সাংবাদিক ভদ্র শর্মার সঙ্গে বিমানবন্দরে যাই। ফটকের বাইরে পাথরের নুড়ির স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, আগুন বের হওয়া বিমানে পানি ছিটানো হচ্ছে। একজন দমকলকর্মী তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহবান জানান। কয়েকজন নেপালি আলোকচিত্রীসহ পিকআপে লাফিয়ে উঠে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। সেখান থেকে প্লাস্টিক পোড়ার গন্ধ ছড়াচ্ছিল, যা ছিল খুবই বিষাক্ত।’
তিনি বলেন, ‘দগ্ধ ঘাসের ওপর হলুদ ব্যাগের দীর্ঘ সারি। পুলিশ কর্মকর্তারা হতাহতদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। একটি খোলা ব্যাগের ভেতর থেকে একটি দগ্ধ অঙ্গ বাইরে বেরিয়ে ছিল। বিমানবন্দরের কয়েকজন কর্মী বলেন, বিমানটি রানওয়ে থেকে ৫০ ফুট দূরে চলে গেছে। বিমানবন্দরের বেড়া ছাড়িয়ে খোলা মাঠের দিকে অধোমুখ হয়ে ধসে পড়ে বিমানটি।’