বাচ্চারা আজকাল খোলা মাঠে খেলাধুলা করার সুযোগই পায় না। এ জন্য যে কেবল সময়স্বল্পতা আর প্রযুক্তিই দায়ী তা কিন্তু নয়। ক্রমবর্ধমান নাগরিক জীবনে মাঠ তৈরির উপযুক্ত জায়গার অভাব এর কারণ। তাই বলে দুরন্ত শৈশবকে তো আর গৃহবন্দি করে রাখলে চলে না! কাজেই বিকল্প উপায় খুঁজতেই এবার চীনের এক স্কুলের ছাদকেই বানানো হয়েছে দৌড়ানোর ট্র্যাক। ঝেজিয়াং প্রদেশের তিয়ানতাইয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ছাদের এ ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য দু’শ মিটার।

এমনিতেই বাচ্চাদের ছাদে ওঠার ব্যাপারে কড়াকড়ি থাকে। সেখানে দৌড়ানোর জন্য ছাদকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন তো দুঃসাধ্য। স্কুল প্রাঙ্গণে মাঠ না থাকায় নিজেদের চিন্তাকে কাজে রূপ দিতে তাই বেগ পেতে হয় স্কুল কর্তৃপক্ষকে। শিশুদের সুরক্ষায় সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ছাদে। তিন স্তর বিশিষ্ট প্রতিরক্ষা বেষ্টনী ছাড়াও চারপাশে ৬ ফুট উঁচু কাচের দেয়াল নির্মাণ করে মাঠটি ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য লাগানো হয়েছে সার্ভিলেন্স ক্যামেরা। ব্যবহার উপযোগী নিজস্ব জমির অভাবে এটির বিকল্পও অবশ্য ছিল না তাদের হাতে। নাই মামার চেয়ে কানা মামা তো ভালো!

গত সেপ্টেম্বর মাসে উদ্বোধন হওয়া ট্র্যাকটি ১৪তম ভেনিস আর্কিটেকচার এক্সিবিশনে চীনের প্রতিনিধিত্ব করে। সেখান থেকেই বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পায় অভিনব এ নির্মাণশৈলী। এর মূল স্থপতি রুয়ান হাও বলেন, আমাদের চিন্তা ছিল জায়গার অভাবে যাতে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা বঞ্চিত না হয়। এ জন্যই অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ছাদের ওপর দৌড় ও খেলার মাঠ তৈরি। অস্বাভাবিক এ ছাদের মাঠে স্কুলটির ১৬শ’ ছাত্রছাত্রীই এখন ব্যায়াম এবং খেলাধুলার সুযোগ পায়। অডিটি সেন্ট্রাল।