যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের স্ত্রী ও ভাতিজার জন্য ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে কীভাবে ‘ভিআইপি মর্যাদার’ ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে তদন্ত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল ও আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদশক, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান, উত্তরা পুলিশের ডিসি, বিমানবন্দর থানার ওসি, শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসান, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতেখার জাহান হোসেনের এবং ‘ভিআইপি পাস’ এর ব্যবস্থাকারী সাবেক অতিরিক্ত সচিব দেলেনা বেগমকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল ‘গোলাম আযমের স্ত্রী ও ভাতিজা ফেরত গেলেন বিমানবন্দর থেকে/ ভিআইপি মর্যাদা দেয়া নিয়ে তোলপাড়’ শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন বুধবার আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলাম আযমের স্ত্রী সৈয়দা আফিফা আযম ও তার ভাতিজা লুৎফুল কবির গত ৮ এপ্রিল সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ‘ভিআইপি পাস’ নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে মুচলেকা রেখে বিমানবন্দর থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়।
দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিকটাত্মীয়দের ‘দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’ থাকার পরও শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসান পরিচয় গোপন রেখে তাদের জন্য ‘ভিআইপি মর্যাদার’ ব্যবস্থা করেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উসকানির দায়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমীর গোলাম আযমকে ২০১৩ সালের ১৫ জুন ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলার মধ্যেই গতবছর ২৩ অক্টোবর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৯২ বছর বয়সী জামায়াতগুরু।
তথ্যঃবিডিনিউজ