বাংলাদেশে ৯জন ইতালি নাগরিক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনায় ইতালিতে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা ভয়-আতংকে রয়েছেন। গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজেন রেস্টুরেন্টে এক দল অস্ত্রধারীর হামলায় ২০জন নিহত হয়।

এর মধ্যে ৯ জনই ইতালীয় নাগরিক। যার ফলে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে ভয় আতংক বিরাজ করছে। এর প্রভাব প্রবাসীদের উপর আসতে পারে এ ধরনের আশংকা করছেন ইতালিতে অবস্থানকারী বাংলাদেশীরা।

তারা জানান, ইতালি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা আমাদের জন্য চরম দুঃসংবাদ। এর ফলে বাংলাদেশীদের জন্য ইতালি সরকার কি সিব্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। মঙ্গলবার দেশটি জাতীয় শোক দিবস পালন করবে। ক্ষুব্ধ ইতালিয়ান নাগরিকরা এই হত্যা কান্ডকে ইতিহাসের বব’রচিত হামলা বলে ধিক্কার জানান। সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে একটি অনিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে দেখছেন।

স্থানীয় পত্রিকা গুলোতে বাংলাদেশের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ফলোআপ করে ছাঁপা হয়েছে। নিহত ইতালিয় নাগরিকদের পরিবারে বইছে শোকের মাতম।

এ ব্যাপারে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, বাংলাদেশে ইতালিয় নাগরিক হত্যার প্রভাব প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপর আসবেনা। তিনি ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন বলে জানান।তবে বাংলাদেশীদের চলাফেরায় সাবধনতা অবলম্বন করতে বলেন ।

অন্যদিকে সোমবারে ইতালির জাতীয় পতাকাবাহী একটি  বিমান বাংলাদেশে পৌছেঁন নিহতদের মরদেহ আনতে তাদের পরিবারসহ। ইতালি সরকার মাত্তেও রেনছি বাংলাদেশে ইতালি নাগরিক হত্যায় টেলিভিশনে এক বার্তা’য় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। নিহত ৯ জন ইতালি নাগরিক হলেন আদেলে পুলিসি, মারকো টনদাত, ক্লাউডিয়া মারিয়া দি আন্না, নাদিয়া বেনেদেত্তি, ভিছেন্সো দি আস্টরো, মারিয়া রিভোলি,খ্রীষ্টিয়ান রস্সি, ক্লাউডিও কাপ্পেল্লি এবং সিমোনা মন্তি।

ইতালিয় হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ-ইতালি বানিজ্য ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ার আশংকা স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলের। তারা মনে করেন এই হত্যাকান্ড বাংলাদেশীদের অর্জিত বিশ্বাস কর্মদক্ষতাকে  ম্লান করে দিয়েছে। যা অদূর ভবিষ্যতের অশনিসংকেত বাংলাদেশীদের জন্য।