ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতারা বলেছেন, আবারো প্রমাণিত হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সিনিয়র নেতা গিয়াস আহমেদ। এছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিদায়ী সভাপতি আলহাজ আব্দুল লতিফ সম্রাট, বিএনপি নেতা আলহাজ সোলায়মান ভূঁইয়া, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে গিয়াস আহমেদ অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচন জালিয়াতির মাধ্যমে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইলেকশন ওয়ার্কিং কমিটি, টিআইবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, হিউম্যান রাইটস গ্রুপ এবং সকল মিডিয়া এ নির্বাচনকে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম প্রহসনমূলক ও হাস্যকর নির্বাচন হিসেবে মন্তব্য করেছে। ৯৯% কেন্দ্রেই অনিয়ম, ভোট জালিয়াতি, জালভোট, জোরপূর্বক এজেন্টদের বের করে দেওয়া, পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার ও নির্যাতন করে কেন্দ্রগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে সরকারের দলীয় বাহিনী। সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যবেক্ষক দলের সদস্যদের পর্যন্ত কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, প্রিসাইডিং অফিসার, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সশস্ত্র বাহিনী মিলে কেন্দ্র দখল করে ইতিহাসের এক জঘন্যতম স্মরণীয় নির্বাচন উপহার দিয়ে সরকার শুধু জাতির কাছে নয়, বিশ্বের কাছেও হাস্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন এবং এই মেয়র নির্বাচনেই প্রমাণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হলে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা বাবর উদ্দিন, আনোয়ারুল ইসলাম, আতাউর রহমান আতা, এজিএম হোসাইন জাহাঙ্গীর, ফারুক মজুমদার, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, শাহাদাত হোসেন রাজু, মাইনুল ইসলাম মহিদ, মাসুদ রানা, হুমায়ুন কবির, মাস্টার মাইনউদ্দীন, মো. সিরাজ, মো. জাহিদ, মো. নাসের, কামরুল আলম, মোস্তাফা যুবায়ের প্রমুখ।