Home Hot News Today আগামী পহেলা বৈশাখ হবে আরো বেশি আড়ম্বরপূর্ণ-সংস্কৃতিমন্ত্রী

আগামী পহেলা বৈশাখ হবে আরো বেশি আড়ম্বরপূর্ণ-সংস্কৃতিমন্ত্রী

0
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘আগামী পহেলা বৈশাখ হবে আরো বেশি আড়ম্বরপূর্ণ। পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন কেবল শহরে সীমাবদ্ধ না রেখে গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুল তলায় শনিবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা জাতীয় ঐহিত্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা গর্বিত। এই স্বীকৃতি উদযাপন করতে আগামী পহেলা বৈশাখে গ্রামে-গঞ্জে শোভাযাত্রা আয়োজনের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’
‘পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এ অর্জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করার অংশ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং চারুকলা অনুষদ এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতারী মমতাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শেখ আফজাল হোসেন এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের প্রথম উদ্যোক্তাদের একজন শহীদ আহমেদ মিফু।
পহেলা বৈশাখ একটি সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক উৎসব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি সমগ্র জাতির মিলনস্থল। এই উৎসবকে আরো জোরালো ও সুন্দরভাবে উদযাপন করার মধ্য দিয়ে আমরা শক্তিশালীরূপে একটি বার্তা দিতে চাই যে, বাঙালি জাতি একটি অসাম্প্রদায়িক জাতি। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের সম্পদ। কোন অপশক্তি আমাদের এটি ছিনিয়ে নিতে পারবেনা।’
আগামী পহেলা বৈশাখ আয়োজনের বৈচিত্র্যময় পরিকল্পনা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে বাদ্যযন্ত্রের কোন অভাব নেই। সমস্ত বাদ্যযন্ত্র এক সঙ্গে করে আমরা দেখাতে পারি আমাদের বাদ্যযন্ত্রেরই কত রকম বৈচিত্র্য রয়েছে।’ ১৪২৪ সালের পহেলা বৈশাখ আরো আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য ১০০ জন দোতরা বাদক, ১০০ জন ঢুলি বাদকসহ আরো নানা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ১৯৮৯ সালের পহেলা বৈশাখে প্রথমবারের মতো এ মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্ষবরণের অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। যা এদেশের চিরায়ত সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে ওঠে। প্রায় চার দশকের এই ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা গত ২৮ নভেম্বর ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করে।