আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনিয়ম হচ্ছে : গভর্নর

0
580

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটছে। ভবিষ্যতে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ধরা পড়লে প্রতিষ্ঠানের পরিষদ ও প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিছপা হবে না। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক কনফারেন্স হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আতিউর রহমান বলেন, আর্থিক খাতে সুশাসনের সার্বিক উন্নয়ন ঘটলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের মধ্যে বিধি-বিধান ও নীতিমালা লঙ্ঘনের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে, পরিচালকদের অনুকূলে নামে- বেনামে সীমাতিরিক্ত ঋণ প্রদান, এসব ঋণের অর্থ ভিন্ন খাতে ব্যবহার, বিরূপ শ্রেণিকৃত ঋণকে অশ্রেণিকৃত হিসেবে প্রদর্শন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিচালক নন এমন ব্যক্তি কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাবেক পরিচালক বা ঋণগ্রহীতা পরিচালনা পরিষদের সভায় উপস্থিত থেকে নীতি-নির্ধারণী বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের মতো গুরুতর অনিয়ম ধরা পড়েছে। এসব অনিয়মের সঙ্গে প্রধান নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার বিষয়টিও তদন্তে উদ্ঘাটিত হয়েছে যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
তিনি বলেন, এ ধরনের অনিয়ম যাতে আর না ঘটে সেজন্যে পরিচালনা পরিষদ ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে আপনাদের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভবিষ্যতে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অনিয়ম ধরা পড়লে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এর ২৬ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক আমানতকারীদের আমানত ঝুঁকিমুক্ত রাখা বা জনস্বার্থে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিষদ ও প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পিছপা হবে না।
আতিউর বলেন, অনিয়মের কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের একজন চেয়ারম্যান, কয়েকজন পরিচালক এবং একজন প্রধান নির্বাহীকে অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করায় কয়েকজন প্রধান নির্বাহীকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের ৪১ ধারার আওতায় ব্যক্তিগতভাবে দোষারোপ করা হয়েছে। একটি বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গভর্নর আরো বলেন, পরিষদ সভায় অনুপস্থিত পরিচালককে সভায় উপস্থিতি দেখিয়ে সম্মানী প্রদান, গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা না থাকা সত্ত্বেও ঘন ঘন নির্বাহী কমিটির সভা আয়োজন, অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের বোর্ড রুমের পরিবর্তে অন্য স্থানে পরিষদ সভা অনুষ্ঠানের নজির আমাদের নজরে এসেছে।

সুত্রঃdailyinqilab.com