সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’

0
326
সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’
সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলে এ ঝড়ের নাম দিয়েছে ‘তিতলি’।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত মানে হল- দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। বন্দর এখই ঝড় কবলিত হবে না। তবে বন্দর ছেড়ে যাওয়া জাহাজ পথে বিপদে পড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থারনরত ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা থেকে ৮৮০ কিলেমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ওই সময় নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।

ঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং বৃহস্পতিবার দিনের প্রথম ভাগে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলে ‘তিতলি’ নামটি প্রস্তাব করে পাকিস্তান। এর অর্থ প্রজাপতি।

এদিকে আরব সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘লুবান’। ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করে ওমানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এ আগে সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে তার নাম দেওয়া হয় দেয়ি। ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে পড়া সেই ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি।