Home আজকের গরম খবর ‘নির্বাচন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র’ ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের পক্ষে ব্যাখ্যা দিলেন ড. হাছান মাহমুদ

‘নির্বাচন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র’ ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের পক্ষে ব্যাখ্যা দিলেন ড. হাছান মাহমুদ

0
‘নির্বাচন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র’ ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের পক্ষে ব্যাখ্যা দিলেন  ড. হাছান মাহমুদ

‘নির্বাচন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র’ ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের পক্ষে ব্যাখ্যা দিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বিগত নয় বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি (কাদের)। এটাই স্বাভাবিক। এটাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। এ নিয়ে বিএনপি ভুল ব্যাখ্যা করে অকারণে সমালোচনা করছে। এটা অবশ্যই আনুষ্ঠানিকতার নির্বাচন। এ বিষয়ে বিএনপি যে বক্তব্য দিচ্ছে পরিহার করতে হবে।

সোমবার সকালে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অবশ্যই দেশের সাধারণ জনগণ গ্রহণ করেছে। দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়ন করছে। তাই ভয়ের যে রাজনীতি তা আমরা জয় করেছি। নির্বাচন অবশ্য এখন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। আমাদের দলীয় সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবেই বক্তব্য উপস্থাপন করেন, সম্প্রতি তিনি (ওবায়দুল কাদের) দেশের বিগত নয় বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ ও খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার বক্তব্যকে বিকৃত করে নানা ধরনের কথা ছড়াচ্ছেন। এক্ষেত্রে তাদের সংযত হওয়া উচিত।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি মিথ্যাচারে ব্যস্ত রয়েছেন, মানসিকভাবে অসুস্থ। তার এখন চিকিৎসার প্রয়োজন।

রিজভীকে রাজনীতির ভাষায় কথা বলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি যে গণতন্ত্রের কথা বলেছে, সেটি কী মানুষ পুড়িয়ে মারার গণতন্ত্র? তারা বলছে দেশে অন্ধকারের গহ্বরে চলে যাচ্ছে। আমার প্রশ্ন হলো, দেশ যদি অন্ধকার গহ্বরেই যাবে তাহলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতিসংঘ কীভাবে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে স্বীকৃতি দিল।

আওয়ামী লীগের ইচ্ছায় রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি তো চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করেছে। এমনকি তারা তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনেও সমাবেশ করেছে। সেখানে তারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টাও করেছে। সমাবেশের অনুমতি দেয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। নিশ্চয় কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা তো ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিলেন- আওয়ামী লীগ ৩০টি সিটও পাবে না। আল্লাহর কি বিধান নির্বাচনের পর বিএনপিই ২৮ সিট পেল। পরে উপনির্বাচনে আরও দুটি আসন বাড়ায় ৩০টি পূর্ণ করতে পেরেছিল তারা।

তিনি বলেন, আমরা চাই না, আগামী নির্বাচন ঘিরে এখন বিএনপি নেতাদের মুখে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে যেসব বক্তব্য আসছে, তা তাদের গলায় ফুটুক। আমরা চাই- অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনারা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।