মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “এ সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করার জন্য সব ব্যবস্থা প্রায় পাকাপোক্ত করেছে।”
বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র পুরোপুরিভাবে নির্বাসিত এবং মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না, সাংবাদিকরা সাহস করে লেখতে পারেন না।
বিজয় দিবসের দিন সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে দুপুর ২টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
সরকার সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এবং অনৈতিকভাবে দেশের মানুষের শাসন করছে এবং মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নেই বলে মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেন।
গণতান্ত্রিক একটা শক্তির পক্ষে যা করা দরকার তার চেয়ে বিএনপি বেশি করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা বরাবরই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি। সেই ১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে ৯০ পর্যন্ত আমরা দেশনেত্রীর নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি। তার আপসহীন নেতৃত্বের কারণে আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিলাম। পরবর্তীকালে ১/১১-এর অবৈধ-বেআইনি সরকার আসার পরে দেশনেত্রীর যে দৃঢ়তা তার কারণে কিছুটা হলেও আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিলাম।
গত আট বছরে সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতন, হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গুম-খুনের পরেও গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির সংগ্রাম চলবে বলে মির্জা ফখরুল দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, “যদি একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হয়, যদি তারা সরকার থেকে সরে দাঁড়ায়, যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়, তাহলে জনগণই প্রমাণ করবে তারা কাকে চায়। জনগণ যে রায় দেবে, তা আমরা মাথা পেতে নেব।”