বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু আবাসিক ভবনগুলোর অন্যতম সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে টর্চ টাওয়ারে ফের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এনিয়ে গত দু’বছরে টাওয়ারিটতে দুই বার আগুন লাগলো।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ৭৯ তলা ও সাড়ে তিনশো মিটার উচ্চতার ভবনটির উপরের দিকে আগুন লাগে। খবর বিবিসির।
দমকল বাহিনীর কর্মীরা কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পৌনে চারটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ভবনটিতে আগুন লাগার পরপরই তা খুব দ্রুত বাইরের দিকে ছড়িয়ে যায়।
এছাড়া ভবনটির পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র উপর থেকে রাস্তার ওপর পড়ছিল।
এদিকে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই টাওয়ারটির ভেতর থেকে খুব দ্রুত লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়।
দুবাই পুলিশ বলেছে, সবার সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে।
বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুল্লাহ খলিফা আল মারি বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে টর্চ টাওয়ার উদ্বোধন করা হয়। ওই সময় এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু আবাসিক ভবন। তবে পরে এর চেয়েও উঁচু আরো ছ’টি ভবন নির্মিত হয়েছে।
টর্চ টাওয়ারে অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা ৬৭৬। এর দুই বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটের মূল্য কমপক্ষে পাঁচ লাখ ডলার।
এর আগে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভবনটিতে আগুন লেগেছিল। ওই সময় এর জন্যে আংশিকভাবে দায়ী করা হয়েছিল ভবনটির বাইরের দিকে লাগানো আচ্ছাদনকে।
তখনও ভবনটি থেকে শত শত লোকজনকে বের করে নেয়া হয়েছিল। ফলে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ফের টর্চ টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড ঘটায় বহুতল আবাসিক ভবনগুলোতে অগ্নি-নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।
এবার ভবনটিতে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি।
আগুন লাগার পরপরই লোকজন স্যোশাল মিডিয়াতে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করে।
কয়েক ঘণ্টা পরে আজ শুক্রবারও যেসব ছবি পোস্ট করা হয়েছে তাতেও দেখা গেছে, ভবনটির আশেপাশে রাস্তার ওপর পার্ক করা গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দিনা নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী টুইটারে লিখেছেন, দমকল বাহিনীর আওয়াজে তার ঘুম ভেঙে যায়। তারপর তিনি দেখতে পান টাওয়ারটিতে আগুন লেগে গেছে।