
অকেজো হয়ে পড়া চীনা মহাকাশ স্টেশনের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর খণ্ড খণ্ড হয়ে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝামাঝি অংশের ওপর জ্বলেপুড়ে বাকি অংশ পানিতে পড়েছে।
চীনা মহাকাশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার পৃথিবীতে পুনঃপ্রবেশের সময় অধিকাংশই জ্বলে শেষ হয়ে যায়।-খবর বিবিসি অনলাইনের।
টিয়াংগং-১ নামে এই মহাকাশ গবেষণা স্টেশনটি চীনের উচ্চাভিলাষী মহাকাশ কর্মসূচির অন্যতম প্রধান অংশ ছিল।
চীনের লক্ষ্য হচ্ছে- ২০২২ সাল নাগাদ তারা মানুষের বসবাসের উপযোগী একটি মহাকাশ কেন্দ্র মহাশূন্যে পাঠাতে চায়। টিয়াংগং-১ ছিল তারই পূর্ব প্রস্তুতি।
২০১১ সালে মহাকাশ কেন্দ্রটি কক্ষপথে প্রবেশ করতে সমর্থ হয়। প্রায় সাত বছর পর এটি এখন ধ্বংস হয়ে পৃথিবীর পড়েছে।
চীনা ও ইউরোপীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, সোমবার নাগাদ মহাকাশ কেন্দ্রটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে এটিতে আগুন ধরে যাবে। এর পরও কিছু ধ্বংসাবশেষ মাটিতে এসে পড়বে।
টিয়াংগং-১ কেমন মহাকাশ স্টেশন?
যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার তুলনায় মহাকাশে চীনের যাত্রা অল্প দিন আগের ঘটনা। ২০০১ সালে প্রথম চীন মহাকাশে যন্ত্র পাঠায়। তার পর ২০০৩ সালে প্রথমবার চীনা কোনো নভোচারী মহাকাশে যায়।
এর পর ২০১১ সালে এসে চীন প্রথম মহাকাশ স্টেশন পাঠায়, যার নাম টিয়াংগং-১ বা স্বর্গের প্রাসাদ।
এই কেন্দ্রে মানুষ যেতে পারত, তবে অল্প কদিনের জন্য। ২০১২ সালে একজন নারী নভোচারী টিয়াংগংয়ে গিয়েছিলেন।
দুবছর পর অর্থাৎ ২০১৬ সালের মার্চের পর থেকে এটি আর কাজ করছিল না।


