দুর্নীতির দায়ে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নেওয়া অাচরণ বিধির চরম লঙ্ঘন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও দলের অন্যতম মূখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি সাংবাদিক ত্রিদিব দস্তিদারের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হয়েও তারেক রহমান কিভাবে বিএনপির সমস্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নেয়? নির্বাচন কমিশনের এটি বন্ধ করা প্রয়োজন ছিল। কারণ একজন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটি দলের মনোনয়ন ঠিক করে দিতে পারেন না। সে জায়গায় তিনি সাক্ষাতকার নিচ্ছেন এবং পার্লামেন্টে কারা নির্বাচন করবেন সেটি ঠিক করে দিচ্ছেন। এটি আইনের শাসনের প্রতি শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন নয় আইনের শাসনের জন্য প্রচণ্ড হুমকিস্বরুপ। সুতরাং আমার মতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার নেওয়া বন্ধ না করা পক্ষপাতদুষ্ট হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম নির্বাচনে জয়লাভ করলে নাকি তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হবেন ড. কামাল হোসেন। কারণ কোন সিদ্ধান্তই ড. কামাল হোসেন নিতে পারেন না। সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন তারেক রহমান। অর্থাৎ তাদের নেতা হচ্ছেন তারেক রহমান। সুতরাং ড. কামাল হোসেনসহ অন্যরা তাদের অাজন্মলালিত চেতনা ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ সবকিছুকে বিসর্জন দিয়ে সন্ত্রাসী, জঙ্গিগোষ্টি ও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ঐক্য করে তাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে অাবির্ভূত হয়েছেন।
বিএনপি প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গণ করছে উল্লেখ করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারাই প্রতিনিয়ত আচরণ বিধির কথা বলেন। আবার তারা সুপ্রিম কোর্টের সামনে সমাবেশ করে দেশের আইন এবং আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ধানের শীষে ভোট চাইলেন এটি অাচরণ বিধির চরম লঙ্গন।
নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির ক্রমাগত অাচরণ বিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে ব্যাবস্থা গ্রহণ করুন।
আয়োজক সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্টাতা সৈয়দ হাছান ইমাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে অালম মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অাকতার হোসেন, কবি নাছির আহমেদ, চিত্রনায়িকা নতুন, চিত্রনায়িকা অরুনা বিশ্বাষ, কন্ঠশিল্পী এস ডি রুবেলসহ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।