বর্তমানে সংসদে জাতীয় পার্টি থেকে সরাসরি নির্বাচিত সদস্য রয়েছেন ৩৪ জন। এর মধ্যে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহ-১ আসনের এমপি এম এ হান্নানের বিচার চলছে। ওই আসনে আর এম এ হান্নানকে চায় না আওয়ামী লীগ। ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির ছয়, জাসদ পাঁচ, তরীকত ফেডারেশন দুই ও জেপি থেকে সরাসরি নির্বাচিত দুই সদস্য বর্তমান সংসদে রয়েছেন। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর সরাসরি নির্বাচিত ৪৮ জন বর্তমান এমপির ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে নির্বাচনে আসন বণ্টনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত মঙ্গলবার বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে জাতীয় পার্টি আলাদা নির্বাচন করবে। আর বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন বণ্টন, সমঝোতা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সব কিছু নির্ভর করছে মেরুকরণ কিভাবে হবে, সেভাবেই অ্যালায়েন্সের সমীকরণ হবে। জোটগতভাবে নির্বাচন করলে শরিকদের জন্য ৬৫-৭০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে।