জার্মানী হচ্ছে নিময় শৃঙ্খলায় আবৃত উচ্চমাপের বুরুক্রেটিক দেশ। আর আমাদের মত বাংলাদেশ থেকে আসা লাগাম ছাড়া দেশের বাসিন্দাদের জন্য জার্মানী হচ্ছে পুরোই জেলখানা । যেমন ধরি, এই দেশে পাড়া দেয়ার সাথে সাথেই “আনমেল্ডোং এর ঝামেলা” মানে হচ্ছে আপনি বাহিরের দেশ থেকে থাকার জন্য অথবা শিক্ষার জন্যে আসলে আপনাকে সিটি অফিসে রেজিস্টিশন করতে হবে । সাথে থাকতে হবে আপনার আপডেটেড পাসপোর্ট এবং যেই খানে থাকবেন সেই বাসার চুক্তি পত্র । এখানেই কিন্তু শেষ না এই বাসা পরিবর্তনের সময় আপনাকে আবার নিবন্ধন বাতিল ও করতে হবে ।
ট্রাফিক সিগনালের লাল আর সবুজ বাতি কিন্তু ভুললে চলবে না । এখানে সব গাড়ি এবং পথচারী এটা মেনেই পথে চলাচল করে ।
সময়ানুবর্তীটা ও একটা ঝামেলা বলা যায় , সবাই পারলে একটু আগেই আসে । এমন কি বাস , ট্রেইন সহ অন্যান্য সকল লোকাল পরিবহন গুলো । বলুন তো কিভাবে চলি এই দেশে এত্ত এত্ত আজাইরা ভেজাল নিয়ে ????????
রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় কোন অসুস্থ মানুষ দেখলে গাড়ি থামিয়ে তাকে সাহায্য করাও নাকি তাদের নাগরিক কর্তব্য । বলুন দেখি কেমন একটা ঝামেলার দেশ ?????
একবার মোবাইল রেস্তোরায় ফেলে আসলাম সেটা পোস্টে ফিরে আসলো আমার বাসার ঠিকানায় । আরেকবার আমার ক্যামেরার ব্যাগ রাস্তায় কোন একজায়গায় ভুলে ফেলে চলে আসলাম । তারপর সিটি অফিসে খুঁজ নিয়ে দেখি কে যেন এটা পেয়ে এদের কাছে দিয়ে গেছে । পুড়ো একটা পাগল জাতি । গাধা নাকি কেউ এতো দামি ক্যামেরা পেয়ে আর ফেরত দেয় বলুন ?
এখন আসি প্রথমবার পড়াশুনা শেষ করে ৪ বছর পর দেশে আমার বাংলাদেশ বেড়ানোর গল্পে :
যেকোন একটা কাজে আমাকে একাই গাড়ি ছাড়া বের হতে হয়েছিল …রাস্তায় বেড় হলে তো রাস্তা পার হতেই হবে । সিগন্যাল বাতি লাল হলো আমার পা দুটোও অটো ব্রেক মারলো । আমি ছাড়া সবাই রাস্তা পার হল আর আমি সবুজ হওয়ার অপেক্ষায় রইলাম ।
আজ প্রায় ১০ বছর হতে চলল জার্মান প্রবাস “জার্মান বাংলা” জীবনের । তাই এখন আর মনে হয় না জার্মান কোন কঠিন নিয়মকানুনের দেশ !!! তবুও আজও ভালবাসি আমার লাগাম ছাড়া বাংলাদেশ । সপ্ন দেখি সোনার বাংলাদেশ প্রতিক্ষনে ।
চলবে ……
**** আমার জার্মান বাংলার গল্প ভাল লেগে থাকলে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আর আপনার কোন গল্প অথবা মতামত থাকলে Email করুন : [email protected] অথবা মেসেজ করুন আমাদের অফিসিয়াল ফেইছবুক পেইজে www.facebook.com/germanbanglanews