আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেই ফোরজিসেবা পাবেন গ্রাহকরা। দেশে চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক (ফোরজি) সেবা বিস্তৃত করার জন্য তরঙ্গের নিলামে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন বিটিআরসির সচিব সরওয়ার আলম। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোন অপারেটরদের হাতে ফোরজির লাইসেন্স আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হবে। এই দিন থেকে সেবা চালু করতে তারা কারিগরিভাবেও প্রস্তুত। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন জানিয়েছিলেন চলতি বছরেই বাংলাদেশে ফোরজিসেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মার্চে নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ সেবার উদ্বোধন করার ঘোষণা দিয়েছিল বিটিআরসি।
নিলামে অংশ নিয়ছে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। নিলামে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযেোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। এছাড়া নিলাম অংশ নেয়া অপারেটর দুইটির শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। নিলাম পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষ টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।
ফোরজি নীতিমালা অনুসারে ১৮ মাসের মধ্যে সবগুলো জেলা শহরে নতুন প্রজন্মের এ সেবা চালু করতে হবে। আর ৩৬ মাসের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে এই সেবা নিয়ে যেতে হবে। তবে শুরুর দিকে শুধু বড় শহরেই এই সেবা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কেননা, এখনো সারা দেশে থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে পারেনি টেলিকম অপারেটরগুলো।
মোবাইল ইন্টারনেটে দ্রুতগতির সেবায় ফোরজি সর্বশেষ প্রযুক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত থ্রিজির এটি পরের ধাপ। বাণিজ্যিকভাবে প্রথম এ সেবা চালু হয় ২০০৯ সালে; নরওয়ে ও সুইডেনে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ প্রায় সব উন্নয়নশীল দেশেই ফোরজিসেবা চালু আছে। বাংলাদেশে সে হিসাবে এটি বেশ পরেই এলো।