রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবজিতে ঠাসা বিক্রেতার ঝুড়ি। সকালে তো বটেই, সন্ধ্যার পরও পাওয়া যায় টাটকা শাকসবজি।
এই চিত্র পর্যাপ্ত সরবরাহের সাক্ষ্য দিলেও দামে ভিন্ন বাস্তবতা। বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। সবজির বাজারে ‘৬০ টাকা’ যেন গড়পড়তা সাধারণ দরে পরিণত হয়েছে। একটু অভিজাত এলাকাগুলোতে ওই সব সবজির দর আরো ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি। প্রায় দেড়-দুই মাস ধরেই সবজির দর এমন চড়া। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করতে গিয়ে অনেকেই কমিয়ে দিয়েছেন সবজি কেনা।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর প্রধান প্রধান বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে সবুজ রঙের গোল বেগুন, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
লম্বা বেগুন ৭০, উচ্ছে ৬০ থেকে ৭০, দেড় কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের একটি লাউ ৬০ টাকা। চালকুমড়া, কচুর লতিও তা-ই। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি।
সবজির মধ্যে তুলনামূলক সস্তা পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। পটোল ৪০ টাকা কেজি। ধনেপাতা, কাগজি লেবু, চালতা, আমড়াও কিছুটা সস্তায় মিলছে। তবে দেশি শসা এখনো ৬০ থেকে ৭০ ও হাইব্রিড শসা ৫০ টাকা কেজি। হিমাগারে সংরক্ষণ করা টমেটো ও আমদানি করা গাজরের কেজি ১০০ টাকা।
কোরবানির ঈদের আগেই রাজধানীর বাজারে সবজির দাম বেড়ে যায়। ওই সময় দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বন্যাকে মূল্যবৃদ্ধির একটা কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়। তবে ঈদের পরও দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। কোনো কোনো সবজির দাম উল্টো আরো বেড়েছে। গাঢ় সবুজ রঙের কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। হালকা সবুজ রঙের কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি।
অসময়ের কিছু সবজিও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এগুলোর অন্যতম শিম, বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। ছোট আকারের ফুলকপি এবং বাঁধাকপিও পাওয়া যাচ্ছে, প্রতিটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারে তরিতরকারির দামের ব্যবধান অনেক বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে খুচরা বিক্রেতারা দাবি করেছেন, তাঁরা কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা করে মুনাফা করছেন।