দুই দশক পর বিস্ফোরক বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজির হওয়া রাবেয়া সুলতানা রুবিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে তার জবানবন্দি নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চিত্রনায়ক সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী।
আত্মহত্যা নয়, সালমান শাহ হত্যার শিকার হয়েছিলেন এবং তার স্ত্রী সামিরা হকের পরিবারই তাকে খুন করিয়েছিল বলে রুবির ভাষ্য।
ফেইসবুকে এক ভিডিওবার্তায় রুবির ওই বক্তব্য আসার পর যুক্তরাজ্যে বসবাসরত নীলা সোমবার টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক সাক্ষাতকারে বলেন, সব অপরাধীই এক সময় অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য হয়, রুবির বক্তব্যই তার প্রমাণ।
“আজ যে স্বীকারোক্তি রুবি দিয়েছে, কোনো পাগল কী এভাবে বলবে? সে তো নিজে এসে সাক্ষী দিতে চাচ্ছে। তাকে সরকারের মাধ্যমে ঢাকায় এনে তার জবাবন্দি নেওয়া হোক। এটা ষোল কোটি মানুষের দাবি, কেবল নীলা চৌধুরীর দাবি নয়।”
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তুমুল জনপ্রিয়তার মধ্যে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ শাহরিয়ার চৌধুরী ইমনের লাশ উদ্ধার করে, রূপালী পর্দায় যার নাম ছিল সালমান শাহ।
ওই ঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ বিবেচনা করে পুলিশ সে সময় অপমৃত্যুর মামলা করলেও সালমান শাহর পরিবার তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। সালমানের বাবা কমরুদ্দীন আহমেদের মৃত্যুর পর সেই মামলা এখন চালাচ্ছেন মা নীলা চৌধুরী, যিনি এক সময় জাতীয় পার্টির নেত্রী ছিলেন। সালমান শাহর মৃত্যুর জন্য তার স্ত্রী সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ১১ জনকে দায়ী করে আদালতে আবেদন করেছিলেন নীলা; ওই ১১ জনের মধ্যে সালমান শাহর ‘বিউটিশিয়ান’ রুবির নামও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় বসবাসরত রুবি সোমবার ফেইসবুকে এক ভিডিওবার্তায় বলেন, “সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চায়নিজ মানুষ।”
রুবি বলেন, “ইমনরে (সালমান শাহ) সামিরা, আমার হাজব্যান্ড ও সামিরার সমস্ত ফ্যামিলি সবাই মিলে খুন করছে। ইমনরে আমার ভাই রুমিরে দিয়ে খুন করানো হইছে। রুমিরেও খুন করানো হইছে। আমি জানি না, আমার ভাইয়ের কবর কোথায় আছে। রুমির লাশ যদি কবর থেকে তুলে পোস্টমর্টেম করে, তাহলে দেখা যাবে রুমিরে গলা টিপে মেরে ফেলা হইছে।”
সালমান শাহর মায়ের অভিযোগ, আইনজীবী থেকে শুরু করে সবাই তাকে এতদিন ‘ঘুরিয়েছে’। ‘পয়সা খেয়ে’ আত্মহত্যা বলে প্রমাণের চেষ্টা করেছে।