শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি গাড়ি ব্যবহারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের দুই মাস পর মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
বিতর্কিত এ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই গাড়ির ক্ষেত্রে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার পাশাপাশি সুইস ব্যাংকে ৯৬ হাজার কোটি টাকার ‘অস্বচ্ছ হিসাব’ তিনি দাখিল করেছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক মঈনুল খান জানান, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে সোমবার সকালে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
‘কারনেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় জনৈক ফারুক উজ-জামান চৌধুরীর নামে নিবন্ধিত ওই রেঞ্জ রোভার গাড়ি গত ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারপর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ভোলা বিআরটিএর কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজসে ভুয়া কাগজ দিয়ে ওই গাড়ি রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা ওই সময়ই জানিয়েছিল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
মঈনুল খান বলেন, মুসা বিন শমসের ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। কিন্ত শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য।
শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে।
“কিন্তু তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিস দিলেও তিনি তা জমা দেননি,” বলেন মঈনুল।
ওই তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুসার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সুপারিশ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। পাশাপাশি ফাঁকি দেওয়া অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পর সোমবার মুদ্রা পাচারের মামলা হল।