বাংলাদেশ সচিবালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ ভেহিকল স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করতে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সচিবালয়ের তিনটি প্রবেশপথে এই স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করা হবে।

এর মাধ্যমে শুধু গাড়িই নয়, গাড়ির ভেতরের মালামাল এমনকি আরোহীকেও স্ক্যান করা সম্ভব হবে। এতে সরকারের ব্যয় হতে পারে ৬০ কোটি টাকার কাছাকাছি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ ধরনের ভেহিকল স্ক্যানার মেশিন বাংলাদেশে এই প্রথম।

জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বছর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়। এ মেশিন সরবরাহের জন্য দরপত্রও আহ্বান করে। কিন্তু এর আগে প্রি-বিড মিটিং না করাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ওই প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। পরে এ বিষয়ে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।

কিন্তু এ মেশিন সরবরাহে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগই বলছে, এবারও এ মেশিনের জন্য কারিগরি যেসব চাহিদার কথা বলা হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় এবং কিছু ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ। এ ছাড়া যে সময়ের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে তা উপযুক্ত নয়।

জানা যায়, গত রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে প্রি-বিড মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ওই মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী আট-নয়টি প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই দরপত্র জমা নেওয়ার সময় বাড়ানোর প্রস্তাব রাখে। তারা বলছে, এ বিষয়ে কারিগরি দক্ষতা যাদের আছে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। সরকারের বিপুল অঙ্কের টাকার যন্ত্র থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়াটাই মুখ্য হওয়া উচিত। কিন্তু এ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাতে রাজি হননি। এ ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠান এ মেশিনের কারিগরি বিষয়ে কিছু শর্ত যোগ করার প্রস্তাব রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখে। ।